শিশু ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করে আদালতে নাজমুলের জবানবন্দি

এখন সময়: শনিবার, ২০ এপ্রিল , ২০২৪, ০৭:০৪:২৭ পিএম

নিজস্ব প্রতিবেদক : যশোরের বাঘারপাড়ার ঠাকুরকাঠি গ্রামের শিশু রিক্তা খাতুন ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় আটক নাজমুল ওরফে বান্দা আলী আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। রোববার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক গৌতম মল্লিক আসামির এ জবানবন্দি গ্রহণ শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন। নাজমুল ঠাকুরকাঠি গ্রামের নওশের আলীর ছেলে। 
নাজমুল ওরফে বান্দা আলী জানিয়েছে, সে ঢাকায় গার্মেন্টসে চাকরি করতো। পরে বাড়ি ফিরে বিয়ে করে সংসার শুরু করে। ২০১৯ সালে নাজমুলের মা মারা যায়। পরে নাজমুলের পিতাকে বিয়ে দেয়ার জন্য নিহত রিক্তার পিতা মুক্তার হোসেন ঘটকালি শুরু করে। নাজমুল এতে বাধ সাজে।  শুক্রবার নাজমুলের পিতাকে ঘটকালি করে বিয়ে দিয়ে আনে নিহতের পিতা মুক্তার। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শনিবার সকালে কৌশলে মুক্তারের মেয়ে শিশু রিক্তাকে নিজের ঘরে নিয়ে যায় নাজমুল। সুযোগ বুঝে তাকে ধর্ষণের ও শ্বাসরোধ করে হত্যার পর লাশ বস্তায় ভরে খাটের নিচেয় লুকিয়ে রাখে। বাড়ির পাশে গর্ত খুড়েছিল লাশ গুম করার উদ্যেশে। তার ঘরে খাটের নিচ থেকে রিক্তার লাশ উদ্ধার করে স্বজনেরা। 
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, শনিবার রিক্তা খাতুন নিখোঁজ হয়েছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে তার পিতা বাড়ি ফিরে আসে। প্রতিবেশীদের সাথে আশেপাশে ও পুকুরে জাল টেনে রিক্তাকে খোঁজাখুজি করা হয়। এরমধ্যে বাড়ি পাশে নাজুলের বাড়ি পাশে একটি নতুন গর্ত ও নিখোঁজ রিক্তার সেন্ডেল পাওয়া যায়। সকলের সন্দেহ হয় নাজমুলকে নিয়ে। এরমধ্যে তার ঘরে তল্লাশি করে খাটের নিচ থেকে বস্তাভর্তি রিক্তার লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ব্যাপারে নিহতের পিতা মুক্তার আলী বাদী হয়ে আটক নাজমুলকে আসামি করে বাঘারপাড়া থানায় ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে মামলা করেন। পরে গ্রামবাসীর সহযোগিতায় নাজমুলকে আটক করে পুলিশ। গতকাল মামলার তন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আওয়াল হোসেন আসামি নাজমুল ওরফে বান্দা আলীকে আদালতে সোপর্দ করেন। আসামি নাজমুল ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করে আদালতে ওই জবানবন্দি দিয়েছে।