মাগুরা প্রতিনিধি : করোনাকালীন সময়ে দীর্ঘ ১৭ মাস শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় মাগুরায় ২ হাজার ৮২৭ জন শিক্ষার্থী বাল্যবিবাহের শিকার হয়েছে । এ সব শিক্ষার্থীরা অধিকাংশই জেলার বিভিন্ন উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে নিম্ন দরিদ্র পরিবারের সন্তান । জেলা শিক্ষা অফিসের এক জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে।
জরিপ থেকে জানা গেছে, জেলা ৪ উপজেলার প্রায় ৩ শতাধিক মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এ বাল্য বিবাহের শিকার হয়েছে । শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণির ৪২ হাজার ৭৪ শিক্ষার্থীর মধ্যে করোনায় বাল্যবিবাহের শিকার হয়েছে ২ হাজার ৮২৭ জনের । এর মধ্যে জেলা সদরে রয়েছে ১ হাজার ২০৫ জন ।
জরিপ উল্লেখ করা হয়েছে , শ্রীপুরে ৭ হাজার ৩৩১ ছাত্রীর মধ্যে ৪১৫ জন,শালিখায় ৬ হাজার ১৯২ ছাত্রীর মধ্যে ৫২৭ এবং মহম্মদপুর উপজেলায় ৯ হাজার ৮২৫ ছাত্রীর মধ্যে ৬৮০ জন বাল্য বিবাহের শিকার হয়েছে । জরিপে উচ্চ মাধ্যমিকে পড়াকালীন শিক্ষার্থীর বিবাহের তথ্য প্রকাশ করেছে । যেখানে বেশির ভাগ ছাত্রী এখন বিদ্যালয়ে আসছে না বলে উল্লেখ করা হয় । সদর উপজেলায় ৬ হাজার ৯৫২ জনের মধ্যে ১৫৫,শালিখায় ৯৬৯ জনের মধ্যে ৪৬ জন,মহম্মদপুরে ১ হাজার ৩৩৪ জনের মধ্যে ১৪০ এবং শ্রীপুর উপজেলায় ১ হাজার ৫৫৩ জনের মধ্যে বিবাহ হয়েছে ১১৩ জনের।
এর আগে মাগুরা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের এক জরিপে ঝওে পড়া শিক্ষার্থীদের তালিকা উঠে এলেও সেখানে জানা গেছে বাল্যবিবাহের কথা।
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত ) আলমগীর কবীর বলেন, জরিপটি আমরা সরকারি নির্দেশনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর শুরু করেছি । এখানে জেলা সদরে সব থেকে বেশি বাল্যবিবাহের শিকার দেখা গেছে। তিনি আরো বলেন, বিবাহের শিকার অনেক শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে না । কারণ বিয়ের অনেক শিক্ষার্থী শ্বশুরবাড়ি থেকে পরীক্ষা দিতে ইচ্ছুক না।