বেনাপোল রেলপথে চার মাসে পণ্য আমদানি এক লাখ ২০ হাজার টন

এখন সময়: শুক্রবার, ২৯ মার্চ , ২০২৪, ০২:০৬:৫৭ এম

# রেলের আয় ৮ কোটি ২৬ লাখ টাকা
নিজস্ব প্রতিবেদক : চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম চারমাসে (জুলাই-অক্টোবর) ভারত থেকে ট্রেনে এক লাখ ২০ হাজার টন বিভিন্ন ধরনের পণ্য আমদানি হয়েছে। এ থেকে রেলওয়ের আয় হয়েছে আট কোটি ২৬ লাখ টাকা। আমদানিকৃত পণ্যের মধ্যে বেশিরভাগ গার্মেন্টস, পেঁয়াজ, আদা, মরিচ, হলুদ, ধানবীজ, গম, চিনি ও পিকআপভ্যানসহ বিভিন্ন পণ্য। 
ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, বেনাপোল ও ভারতের পেট্টাপোল বন্দরে চাঁদাবাজিসহ নানা অনিয়মের কারণে এখন ট্রাকের পরিবর্তে ট্রেনে পণ্য আমদানি বাড়িয়েছেন আমদানিকারকরা। এ ছাড়া বেনাপোল বন্দরে পণ্য রাখার জায়গার অভাবসহ পেট্টাপোল বন্দরের বেসরকারি কালীতলা পার্কিং সিন্ডিকেটের কারণে এক কনসাইনমেন্ট আমদানি পণ্য বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করতে ৩৫-৪০ দিন সময় লাগছে। দীর্ঘদিন পেট্টাপোল বন্দরে আমদানি পণ্য আটকে থাকায় প্রতিদিন আমদানিকারকদের লাখ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হয়। এসব কারণে ট্রাকে পণ্য আমদানিতে নিরুৎসাহিত হচ্ছেন আমদানিকারকরা। যেসব পণ্য আগে ট্রাকে আসতো তা এখন ট্রেনে আসছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
ইন্দো-বাংলা চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক মতিয়ার রহমান বলেন, বেনাপোল বন্দরে জায়গা সংকটসহ নানা অনিয়মের কথা আমরা দীর্ঘদিন ধরে বন্দর কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে আসছি। পত্রের মাধ্যমে বন্দরের নানা অনিয়মের কথা জানালেও কর্তৃপক্ষ তেমন কোনও কার্যকর ভূমিকা পালন করে না। সড়কপথে আমদানিতে নানা হয়রানির কারণে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ট্রেনে পণ্য আমদানি করছেন আমদানিকারকরা।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন বলেন, ভারতের পেট্টাপোল বন্দর থেকে বেনাপোল বন্দরের দূরত্ব এক কিলোমিটারও নয়। এত কম দূরত্বে আসতে যদি ৩৫-৪০ দিন সময় লাগে, তাহলে বন্দর দিয়ে সড়কপথে কোনও আমদানিকারক কী পণ্য আমদানি করবেন? উভয় দেশের বন্দরে চাঁদাবাজি, অনিয়ম-দুর্নীতি ও যানজটের জন্য বিশেষ সুবিধা পাওয়ায় দুই দেশের ট্রেনে পণ্য আমদানি বেড়েছে।
বেনাপোল স্টেশন মাস্টার সাইদুজ্জামান বলেন, জুলাই থেকে অক্টোবর এই চার মাসে ভারত থেকে বেনাপোল দিয়ে ট্রেনে বিভিন্ন পণ্য পরিবহন করে বাংলাদেশ রেলওয়ের আয় হয়েছে আট কোটি ২৬ লাখ টাকা। এ সময়ে পণ্য আমদানি হয়েছে এক লাখ ২০ হাজার মেট্রিক টন।