পাইকগাছায় জগদ্ধাত্রী পূজা অনুষ্ঠিত

এখন সময়: মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল , ২০২৪, ০৯:০০:১৬ পিএম

পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি : পাইকগাছায় ব্যাপক উৎসাহ, উদ্দীপনা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য্যরে মধ্যদিয়ে জগদ্ধাত্রী পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। শনিবার পূজা  শুরু হয়ে রবিবার বিজয়া দশমীর মধ্য দিয়ে পূজার আনুষ্ঠানিকতা শেষ হবে। তবে পূজা ২দিনে শেষ হলেও চলবে অনুষ্ঠান ৫দিন।
জগদ্ধাত্রী শব্দের আভিধানিক অর্থ হলো জগদ্ধাত্রী। ত্রি-ভুবনের জগতের ধাত্রী, ব্যপ্ত অর্থে দুর্গা, কালিসহ অন্যান্য শক্তিদেবীগণও জগদ্ধাত্রী। তবে শাস্ত্রনির্দিষ্ট জগদ্ধাত্রী রূপের নামকরণের পশ্চাতে রয়েছে সুক্ষতর ধর্মীয় দর্শন। জগদ্ধাত্রী দুর্গা হিন্দু শক্তিদেবী। ইনি দুর্গার অপর রূপ। উপনিষদে এর নাম উমা হৈমবতী। বিভিন্ন তন্ত্র ও পুরাণ গ্রন্থে এর উল্লেখ পাওয়া যায়। জগদ্ধাত্রী আরাধনার বিশেষত বঙ্গদেশে প্রচলিত। পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার চন্দননগর ও নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগরের জগদ্ধাত্রী উৎসব জগৎ বিখ্যাত।
জগদ্ধাত্রী দেবী ত্রিনয়না, চতুর্ভূজা ও সিংহবাহিনী। তার হাতে শঙ্খ, চক্র, ধনুক ও বাণ, গলায় নাগযজ্ঞোপবীত। বাহন সিংহ করীন্দ্রাসুর অর্থাৎ হস্তীরূপী অসুরের পৃষ্ঠে দণ্ডায়মান। দেবীর গাত্রবর্ণ উদিয়মান সূর্যের ন্যায়। কার্তিক মাসের শুক্লা নবমী তিথিতে দেবী জগদ্ধাত্রীর বাৎসরিক পূজা অনুষ্ঠিত হয়। জগদ্ধাত্রী প্রতিমায় বাহন সিংহের পদতলে একটি হস্তীমুন্ড থাকে। প্রচলিত বিশ্বাস অনুসারে জগদ্ধাত্রী দেবী করীন্দ্রাসুর অর্থাৎ মহাহস্তী রূপী অসুরকে বধ করেছিলেন। এ কারণে দেবী জগদ্ধাত্রী করীন্দ্রাসুরনিসূদিনী নামে পরিচিত। দুর্গা পূজার এক মাস পরে কার্তিক মাসের শুক্লা নবমী তিথিতে দেবী জগদ্ধাত্রীর পূজা অনুষ্ঠিত হয়।
পাইকগাছা উপজেলার গদাইপুরের বোয়ালিয়া, রাড়–লীর  বাঁকা পূর্ব ঘোষপাড়া,পশ্চিম ঘোষপাড়া ও দাশ পাড়া এবং কপিলমুনি মন্দিরে জগদ্ধাত্রী পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। পূজা উপলক্ষে প্যান্ডেল ও আলোক সজ্জা করা হয়েছে। বাঁকা পূর্ব ঘোষপাড়া সার্বজনীন জগদ্ধাত্রী পূজা মণ্ডপ দৃষ্টিনন্দন জাহাজের ন্যায় প্যাে ল ও পশ্চিম ঘোষপাড়ায় দ্বিতল প্যান্ডেলের মধ্যে পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বোয়ালিয়া ও বাঁকায় পূজা মন্দিরগুলিতে ব্যাপক আলোক সজ্জা রাতের বেলায় এক জমকালো আলোর উৎসবে পরিণত হচ্ছে। রবিবার দেবীর বিসর্জন, মিষ্টি বিতরণ ও গুরুজনদের প্রণাম করা উৎসবের মধ্যে জগদ্ধাত্রী পূজার আনুষ্ঠানিকতা শেষ হবে।  বাকা পূর্বপাড়া সার্বজনীন জগদ্ধাত্রী পূজা মণ্ডপের সভাপতি তাপস কুমার ঘোষ জানান,পূজা ২দিনে শেষ হবে তবে অনুষ্ঠান ৫দিন চলবে। এ মন্দির শতাধিক বছরের ঐতিহ্য। তার ধারাবাহিকতা ধরে পূজা ও ধর্মীয় অনুষ্ঠান হয়ে চলেছে।