তিনদিন পর কপোতাক্ষ থেকে সেই কলেজ ছাত্রের লাশ উদ্ধার

এখন সময়: বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল , ২০২৪, ১২:৩৬:৩৯ এম

জি এম আসলাম হোসেন, কপিলমুনি (খুলনা) : খুনের ৩দিন পর কপোতাক্ষ নদ থেকে কপিলমুনি কলেজের ছাত্র  আমিনুর রহমানের (২০) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় আটক ফয়সালের স্বীকারোক্তির পর সোমবার দুপুর থেকে মঙ্গলবার রাত অবধি পুলিশ আগড়ঘাটা এলাকায় কপোতাক্ষ নদে উদ্ধার অভিযান চালায়। তবে বুধবার ভোরে জনৈক ট্রলার মাঝি আগড়ঘাটা বাজারের কপোতাক্ষ নদের ভাঙনকুলে আমিনুরের ভাসমান লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ ওই স্থান থেকে লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করে। এ খুনের ঘটনায় আমিনুরের পিতা ছুরমান গাজী বাদি হয়ে ফয়সালকে আসামি করে মঙ্গলবার পাইকগাছা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। গত রোববার রাত ৮ টার দিকে উপজেলার গদাইপুর গ্রামের জিল্লুর রহমান সরদারের ছেলে ফয়সাল সরদার (২১) আগড়ঘাটা বাজারের পশ্চিম দিকে ভাঙন এলাকায় আমিনুরকে ডেকে নিয়ে যায়। এসময় ফয়সাল ১৫ টি ঘুমের ট্যবলেট ডিসোপেন মিশ্রিত কোমল পানি পান করিয়ে আমিনুরকে অচেতন করে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। পরে লাশ নদে ফেলে দেয়। আটক ফয়সালের দেয়া তথ্যে ঘটনাস্থলে যেয়ে নদের পাড়ে আমিনুরের রক্তের ছোপ ছোপ দাগ দেখতে পেয়ে খুনের বিষয়টি নিশ্চিত হয় পুলিশ। খুন করার পরপরই ঘাতক ফয়সাল আমিনুরের ব্যবহৃত ফোন দিয়ে তার পিতা ছুরমান গাজীর নিকট ১৫ লাখ  টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। তার বাবা ৬ লাখ টাকা দিতে চাইলে রাজি হয় ফয়সাল। খুনের পরদিন সোমবার দুপুর ১২ টার দিকে পাইকগাছা ব্রিজ এলাকা থেকে টাকা দেয়ার সময় স্থানীয় জনতার সহায়তায় পুলিশ তাকে আটক করে। থানায় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আমিনুরকে সে একাই খুন করেছে বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করে। এছাড়া প্রায়ই তারা দুজনে রাতের বেলায় ওই স্থানে বসে মাদক সেবন করতো বলেও জানায়। এদিকে ঘাতক ফয়সালের ফাঁসির দাবিতে এলাকাবাসী বিক্ষোভ ও মানববন্ধন  করেছেন। প্রেম ঘটিত কারণে কলেজ ছাত্র আমিনুরকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হতে পারে বলে অনেকে ধারণা করছেন। সাধারণত অপহরণ করে মুক্তিপণের টাকা দাবি করা হয়, কিন্তু এক্ষেত্রে হত্যা করার পর মুক্তিপণের টাকা দাবি করার বিষয়টি নিয়ে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

পাইকগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জিয়াউর রহমান বলেন, ‘থানায় মামলা হয়েছে, আমিনুরের লাশ বুধবার সকাল সাড়ে ১০ টায় নদী থেকে তুলে পোস্টমার্টেমে পাঠানো হয়েছে।