ঝিকরগাছার ৯ আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কারের সুপারিশ

এখন সময়: বুধবার, ২৪ এপ্রিল , ২০২৪, ০৬:১৭:১০ পিএম

এম আলমগীর, ঝিকরগাছা: আগামী ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) প্রার্থী হওয়ায় যশোরের ঝিকরগাছার  ৯ আওয়ামী লীগ নেতাকে বহিষ্কারের সুপারিশ করেছে উপজেলা আওয়ামী লীগ। ঝিকরগাছা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম মুকুল ও সাধারণ সম্পাদক মুসা মাহমুদ সাক্ষরিত এক পত্রে যশোর জেলা আওয়ামী লীগ বরাবর এই সুপারিশ করা হয়েছে। যাদেরকে বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়েছে তারা হলেন, ১নং গঙ্গানন্দপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি আতাউর রহমান ঝন্টু, সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান চেয়ারম্যান বদর উদ্দীন বিল্টু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম শহিদ, সদস্য মইয উদ্দীন। ২নং মাগুরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ওবায়দুর রহমান। ৩নং শিমুলিয়া আওয়ামী লীগের সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জহুরুল হক, ৪নং গদখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহাজান আলী, ৮নং নির্বাসখোলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম ও ৯নং হাজিরবাগ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সদস্য নুরুল আমীন মধু।

এ ব্যাপারে ঝিকরগাছা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম মুকুল বলেন, দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে এই নয়জন ইউপি নির্বাচনে স্বতন্ত্র নির্বাচন করছেন। এজন্য দলীয় শৃঙ্খলা রক্ষার্থে উপজেলা আওয়ামী লীগ তাদের বহিষ্কারের সুপারিশ করেছে। ভবিষ্যতেও কেউ দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার চেষ্টা করলে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বহিষ্কারের সুপারিশপ্রাপ্ত, গদখালি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহাজান আলী বলেন, আমি যদি দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করি তাহলে আমাকে বহিষ্কারের আগে কারণ দর্শানোর জন্য অন্তত তিনটা নোটিশ দেয়ার কথা। কিন্তু উপজেলা নেতৃবৃন্দ নিয়ম বহির্ভুতভাবে আমাকে বহিস্কারের সুপারিশ করেছেন। ইউপি নির্বাচনে তিনি জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী বলে জানান।

গঙ্গানন্দপুর ইউপির আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান চেয়ারম্যান বদর উদ্দীন বিল্টু জানান, কোনো রকম নোটিশ ছাড়াই তাকে বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়েছে। তিনি বলেন, আমার ইউনিয়নে জামায়াত বিএনপির কোন প্রার্থী নেই এজন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য আমি নির্বাচন করছি। যদি বিরোধীদলের কোনো প্রার্থী থাকতো তাহলে আমি স্বতন্ত্র নির্বাচন করতাম না।