কোটচাঁদপুরে ১৫ মাসে করোনায় মৃত্যু ১০

এখন সময়: বুধবার, ২৪ এপ্রিল , ২০২৪, ০৭:৪৮:২৭ পিএম

# টিকার নিবন্ধন ৫৫ হাজার, গ্রহণ ২০ হাজার ৪শ’

 

কোটচাঁদপুর (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি: কোটচাঁদপুরে গত ১৫ মাসে করোনা ও উপসর্গে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: আব্দুর রশিদ এ তথ্য জানিয়েছেন। তবে করোনায় আক্রান্ত হয়ে পরীক্ষা না করে বাড়িতে বসেই চিকিৎসা নিয়েছেন এমন রোগীর সংখ্যাই বেশি। হাসপাতাল সূত্র বলছে গত বছরে মার্চের ২য় সপ্তাহ থেকে চলতি বছরের ২৩ আগস্ট পর্যন্ত এখানে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। উপসর্গে মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের।

করোনা শুরুর পর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৮ বেডের করোনা ইউনিট চালু করা হয়। ২য় ঢেউ শুরু হলে রোগী বৃদ্ধির সাথে সাথে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ করোনা ইউনিটকে ৮ বেড থেকে ৩০ বেডে উন্নীত করেন। সে সময় ৪ জন ডাক্তার, ৮ জন নার্সসহ স্বাস্থ্য সহায়করা সার্বক্ষণিক চিসিৎসা সেবা দেন। এ চিকিৎসা দিতে গিয়ে ডা: সুব্রত কুমার বিশ্বাস নিজেই করোনায় আক্রান্ত হন। আগস্টের প্রথম সপ্তাহ থেকে আক্রান্তের হার কমে যাওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যাও কমে যায়। গতকাল ২৫ আগস্ট পর্যন্ত হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে মাত্র ৯ জন রোগী ভর্তি ছিলেন। শুরুতে সাধারণ রোগীদের চিকিৎসার জন্য হাতে গোনা দু’চারটি অক্সিজেন সিলিন্ডার ছিল। বর্তমানে সরকারিভাবে ৪৩ টি অক্সিজেন সিলিন্ডার রয়েছে। স্থানীয় উপজেলা চেয়ারম্যান, পৌর মেয়র, সংসদ সদস্য, কনকর্ড ফার্মাসিউটিক্যাল, সার ব্যবসায়ী সমিতি ও কোটচাঁদপুরের কৃতি সন্তান ঢাকা মেডিকেলের কার্ডিওথোরাসিস বিভাগের অধ্যাপক কামরুল হাসানের সহযোগিতায় বর্তমানে সিলিন্ডারের সংখ্যা ৯৯টি। অক্সিজেন কনসেনটেটর ৮টি। তার মধ্যে ৩টি সরকারিভাবে পাওয়া। হাসপাতালে এ পর্যন্ত করোনার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৩ হাজার ৫শ ৮৮টি। এর মধ্যে পিসিআর ল্যাবে ২ হাজার ৫২টি। এন্টিজেন টেস্ট ১ হাজার ৫শ ৩৬। মোট শনাক্ত ৮শ ৬১। শনাক্তের হার সাড়ে ১২ শতাংশ। মৃত্যুহার ১.১৬। সুস্থতার হার ৮৮.৯৬। বর্তমানে হোম আইসোলেশনে রয়েছেন ৮৫ জন। টিকার জন্য নিবন্ধন করেছেন ৫৫ হাজার। ১ম ডোজ নিয়েছেন ১৪ হাজার ২’শ ৮৬ জন। ২য় ডোজ পেয়েছেন ৬ হাজার ১’শ ৫৪ জন। ৭ আগস্ট গণ টিকায় ১ম ডোজ পেয়েছেন ৩ হাজার ৯’শ ৯০ জন। বাকিরা খুদে বার্তার অপেক্ষায়। স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আব্দুর রশিদ টিকা আবেদনকারীদের বিনা বার্তায় হাসপাতালে না আসার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন। হাসপাতালে টিকার প্রয়োজনীয় মজুদ এবং চাহিদাপত্র দেওয়া রয়েছে। পর্যায়ক্রমে সরকারিভাবে সকলকেই টিকার আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে। তিনি আরও জানান, করোনার পাশাপাশি হাসপাতালে সার্বিক চিকিৎসা অব্যাহত রয়েছে।