কালিগঞ্জ (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে স্বামীর দ্বিতীয় বিয়ের প্রতিবাদ করায় খাদিজা খাতুন (৩৭) নামে এক গৃহবধূকে মারপিট করে মধ্যরাতে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে পাষণ্ড স্বামী। ঘটনাটি ঘটেছে গত ৬ অক্টোবর রাতে উপজেলার মৌতলা ইউনিয়নের পানিয়া গ্রামে। এ ঘটনায় খাদিজা খাতুনের স্বামীর বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন তার ভাই মতিউর রহমান।
লিখিত অভিযোগে নিখোঁজ গৃহবধূর ভাই উপজেলার মথুরেশপুর ইউনিয়নের নিজদেবপুর গ্রামের মরহুম আব্দুল্লাহ সরদারের ছেলে মতিউর রহমান (৩৪) জানান, ২০০৭ সালে পানিয়া গ্রামের মরহুম এন্তাজ আলী গাজীর ছেলে জাহারুল ইসলাম (৪৫) এর সাথে তার বোন খাদিজা খাতুনের বিয়ে হয়।
তাদের সংসারে দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। বিয়ের পর থেকে জাহারুল ইসলাম বিভিন্ন কারণে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালালেও সন্তানদের মুখের দিকে তাকিয়ে সব সহ্য করে আসছিলেন খাদিজা খাতুন। কিন্তু প্রায় একবছর আগে খাদিজা খাতুনের অনুমতি ছাড়াই আরও একটি বিয়ে করে জাহারুল। এরপর থেকে তাদের সংসারে আরও অশান্তি বেড়ে যায় এবং প্রায়ই খাদিজাকে মারপিট করে জখম করতে থাকে। একপর্যায়ে গত ৬ অক্টোবর রাত সাড়ে ১১টার দিকে খাদিজা খাতুনকে বাঁশের লাঠি দিয়ে মারপিট করে এবং কিল, ঘুষি ও লাথি মেরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে ও বিভিন্ন হুমকি ধামকি প্রদান করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। খবর পেয়ে পরদিন সকালে বোনের স্বামীর বাড়িতে যেয়ে বোনকে না পেলেও তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন স্বামীর বাড়িতে পাওয়া যায়। এরপর থেকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও সন্ধান মেলেনি খাদিজা খাতুনের।
মতিউর রহমান জানান, নির্যাতন করে তার বোন খাদিজা খাতুনকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে ভগ্নিপতি জাহারুল ইসলাম। চারদিন পরও তার সন্ধান না পাওয়ায় পরিবারের সবাই দুঃশ্চিন্তায় রয়েছেন। এ ঘটনায় জাহারুল ইসলামকে আসামি করে বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বলে জানান তিনি।