কালিগঞ্জ (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে খাদিজা খাতুন (১২) নামে এক শিক্ষার্থী তিনদিন ধরে নিখোঁজ রয়েছে। সে উপজেলার ধলবাড়িয়া ইউনিয়নের আব্দুলখালী গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের মেয়ে ও পিডিকে বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী। ওই স্কুলছাত্রীকের শ্যামনগর উপজেলার কৈখালী গ্রামের কাদের বাউলিয়ার ছেলে মিজান বাউলিয়া (৩৩), তার পিতা কাদের বাউলিয়া (৫৫), মা মোছাঃ মেহেরুন নেছাসহ অজ্ঞাতনামা ২ থেকে ৩জন ব্যক্তি অপহরণ করেছে বলে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন নিখোঁজ ছাত্রীর পিতা জাহাঙ্গীর আলম।
লিখিত অভিযোগে জাহাঙ্গীর আলম (৪২) জানান, আমার কন্যা মোছাঃ খাদিজা খাতুন কালিগঞ্জের পিডিকে বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির নিয়মিত ছাত্রী। প্রতিদিন সকাল ৭টার দিকে সে বাড়ি হতে বিদ্যালয়ে যায় এবং দুপুর ২টার দিকে বাড়িতে আসে। প্রতিদিনের ন্যায় গত ৬ অক্টোবর সকাল ৭টার দিকে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হলেও সে ফিরে আসেনি। বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি মাঝে মধ্যে ০১৯২৪-৬৮৮৪৯১ নাম্বার হতে আমার ব্যবহৃত ০১৯৯৬-৬৬৭৫৪৮ নাম্বারে ফোন দিয়েও কথাবার্তা বলছে না। শ্যামনগর উপজেলার কৈখালী গ্রামের কাদের বাউলিয়ার বিবাহিত ছেলে সৌদিআরব ফেরত মিজান বাউলিয়া তার মেয়েকে স্কুলে যাতায়াতের পথে প্রেমের প্রস্তাব দেয়ার পাশাপাশি উত্ত্যক্ত করতো। খাদিজা খাতুন প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় মিজান বাউলিয়া তাকে অপহরণ করবে বলে প্রায়ই হুমকি দিতো। একপর্যায়ে গত ৬ অক্টোবর সকাল ৭ টার দিকে বাড়ি থেকে বের হয়ে কাটুনিয়া কলেজ মোড়ে যাত্রীছাউনির নিকট পৌঁছালে মিজান বাউলিয়া ও অন্যান্য আসামিরা খাদিজা খাতুনকে জোরপূর্বক মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে যায় বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
এদিকে, তিনদিন পার হলেও মেয়ের সন্ধান না পাওয়ায় পরিবারের সদস্যরা উৎকণ্ঠায় রয়েছেন। তাকে দ্রুত উদ্ধারে পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য প্রশাসনের প্রতি দাবি জানিয়েছেন তারা।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কালিগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) হারুন অর রশিদ মৃধা বলেন, নিখোঁজের ঘটনায় বুধবার (৮ অক্টোবর) বিকেলে স্কুলছাত্রী খাদিজা খাতুনের পিতা জাহাঙ্গীর আলম থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগে ৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ২ থেকে ৩ জনকে আসামি করা হয়েছে। ওই ছাত্রীকে উদ্ধারের প্রচেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।