ডুমুরিয়া প্রতিনিধি : ডুমুরিয়ায় এফআইকিউসি ও মৎস্য অধিদপ্তরের যৌথ অভিযানে খর্নিয়া ও চুকনগর বাজারে দুটি মাছের ডিপোতে নগদ ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও অপদ্রব্য পুশকৃত ৪০ কেজি গলদা চিংড়ি বিনষ্ট করা হয়েছে। সোমবার বিকালে পরিচালিত এ অভিযানে নেতৃত্বদেন এফআইকিউসি (মাছ পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ) খুলনার সিনিয়র সহকারী পরিচালক আবুল হাসান এবং ডুমুরিয়া সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সোহেল মোঃ জিল্লুর রহমান রিগান।
জানা যায়, চিংড়ি শিল্প বিশ্ববাজারে সুনাম অর্জন করলেও কিছু অসাধু ব্যবসায়ীর কারণে এ খাত বারবার হুমকির মুখে পড়ছে। চিংড়িতে জেলি বা অন্যান্য পদার্থ পুশ করে কৃত্রিমভাবে ওজন বৃদ্ধি করার মতো অনৈতিক কর্মকাণ্ড শুধু ভোক্তাদের প্রতারণাই নয় বরং দেশের বৈদেশিক বাণিজ্যের জন্যও মারাত্মক ক্ষতিকর। এই বাস্তবতায় সংশ্লিষ্ট দপ্তর দুইটির উদ্যোগে উপজেলার চুকনগর বাজারে অভিযান চালিয়ে মেসার্স মডেল ফিসে প্রায় ৪০ কেজি পুশকৃত চিংড়ি ও ৫ কেজি জেলি জব্দ করে তা ধ্বংস করা হয়। এসময় প্রতিষ্ঠানটিকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অপরদিকে খর্নিয়া বাজারের মেসার্স মোল্লা ফিসকে লাইসেন্স ছাড়া এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ডিপো পরিচালনার অপরাধে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এছাড়া ডুমুরিয়া বাজারের মেসার্স তমা ফিস, মেসার্স মোল্লা ফিস এবং রুদাঘরা ইউনিয়নের শোলগাতিয়া মৎস্য আড়তও পরিদর্শন করে আভিযানিক দলটি।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন এফআইকিউসি খুলনার ইন্সপেক্টর মোঃ মিজানুর রহমান, উপজেলা মৎস্য দপ্তরের ক্ষেত্র সহকারী কেএম মহসিন আলম, অফিস সহকারী মোঃ সাইফুল্লাহসহ অন্যান্য কর্মচারীরা।
সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সোহেল মোঃ জিল্লুর রহমান রিগান বলেন, ‘পুশকৃত চিংড়ি শুধু প্রতারণা নয়, মানবস্বাস্থ্যের জন্যও ঝুঁকিপূর্ণ। তাই এর বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান চলবে। একই সঙ্গে ভোক্তাদেরও এ বিষয়ে সচেতন হতে হবে।’