নিজস্ব প্রতিবেদক : যশোর শহরের শংকরপুর চোপদার পাড়ায় কলেজ শিক্ষার্থী নুর হোসেন হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার সাইদুল ইসলাম পচা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। ছোট বেলার শত্রæতা ও আড় চোখে তাকাতাকির জেরে মারধর করায় নুর হোসেনকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয় বলে পচা স্বীকার করেছে। এ ঘটনায় আরো ১৫/২০ জন জড়িত বলে জানিয়েছে পচা। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম কিবরিয়া আসামি পচার জবানবন্দি গ্রহণ করেন। পরে পচা ও রনি ওরফে কানা রনিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
সাইদুল ইসলাম পচা জানিয়েছে, গত ১০ মে শংকরপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে গোলাযোগ হয়। তার বন্ধু রনি ওরফে কানা রনির সাথে সেদিন গোলাযোগ হয়েছিলো। তবে কাদের সাথে রনি ওরফে কানা রনির গোলাযোগ হয়েছিলো তা সে জানতো না। গত ১১ মে সন্ধ্যায় সে এবং তার বন্ধু মনিরুল শংকরপুর চোপদার পাড়ার বারেক সড়কের কালামের দোকানের সামনে যায়। পরে মনিরুল মসজিদে নামাজ পড়ে বাড়িতে চলে যায়। এ সময় দোকানের সামনে অবস্থান করা নুর হোসেন ও শান্তর দিকে আড়চোখে তাকিয়েছি বলে তারা তাকে গালিগালাজ করে। এর প্রতিবাদ করলে নুর হোসেন, রিজভী ও শান্ত তাকে ধরে গলির মধ্যে নিয়ে মারধরে জখম করে। পচা বিষয়টি ফোনে পাপ্পুসহ তার দুই বন্ধুকে জানায়। তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে ইউনুছ তরফদার, হাসান, রনি, পাপ্পু, আকাশ, পাখি সুমন, বাঁধন, রিয়াদ, আলাউদ্দিন, সাগরসহ আরও কয়েকজন আসে। এ সময় হাসান তাকে একটি চাকু দিলে সে নুর হোসেনকে কয়েকটি ছুরিকাঘাত করে। পরে সে শুনেছে নুর হোসেন মারা গেছে। এ ঘটনার সাথে তারা ১৫/২০ জন জড়িত।
এ দিকে নুর হোসেনকে হত্যার ঘটনায় ১২ মে নিহতের মা আম্বিয়া খাতুন ১০ জনের নাম উল্লেখসহ অপরিচিত ১০/১২ জনকে আসামি করে কোতয়িালি থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হত্যার সাথে জড়িত থাকায় পচা ও রনিকে গ্রেপ্তার ও মঙ্গলবার আদালতে সোপর্দ করেন। পচা ঘটনার সাথে নিজে জড়িত ও অপর জড়িতদের নাম উল্লেখ করে আদালতে ওই জবানবন্দি দিয়েছে।