মনোনয়নপত্র বিতরণ না করেই প্রধান শিক্ষক লাপাত্তা

এখন সময়: বৃহস্পতিবার, ৩০ মে , ২০২৪, ০৫:২০:১৮ এম

অসীম মোদক,মহেশপুর : মহেশপুর জি,এইচ,জি,পি পৌর মাধ্যমিক বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটি নির্বাচনের মনোনয়নপত্র বিতরণ না করে বিশেষ একটি মহলের ইশারায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মতিয়ার রহমান এলাকা ছেড়ে অন্যত্র গা ঢাকা দিয়েছেন। এদিকে ম্যানেজিং কমিটি নির্বাচনের কয়েকজন মনোনয়নপত্র ক্রয় করতে এসে ফিরে গেছেন।
বিদ্যালয়ের একটি সূত্রে জানাগেছে, ১১.১২ ও ১৩ মে মহেশপুর জি,এইচ,জি,পি পৌর মাধ্যমিক বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটি নির্বাচনের মনোনয়নপত্র বিতরণের দিন থাকলেও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক না থাকায় বিতরণ করা হয়নি। তিনি অন্যত্র গা ঢাকা দিয়েছেন বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন।
গোপালপুর গ্রামের নাসির উদ্দীন জানান, আমি ১১ ও ১২ তারিখে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটি নির্বাচনের মনোনয়নপত্র নিতে বিদ্যালয়ে গিয়ে ফিরে এসেছি। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক না থাকার কারণে আমাকে মনোনয়নপত্র দেয়া হয়নি।
আবু হাসান জানান, আমি পর পর দু’দিন নির্বাচনের জন্য বিদ্যালয়ে মনোনয়নপত্র নিতে গিয়ে প্রধান শিক্ষক না থাকায় আমাকে ফিরে আসতে হয়েছে।
বিদ্যালয়ের কম্পিউটার শিক্ষক শাহাজান আলী জানান, ভোটার তালিকায় অনেক ভুল ত্রুটি থাকার কারণে নির্বাচনের মনোনয়নপত্র বিতরণ করা হয়নি। তাছাড়া বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মতিয়ার রহমান জরুরি কাজে ঢাকায় গেছেন।
মহেশপুর জি,এইচ,জি,পি পৌর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মতিয়ার রহমানের বক্তব্য নেয়ার জন্য তার মুঠো ফোনে কয়েক বার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
মহেশপুর জি,এইচ,জি,পি পৌর মাধ্যমিক বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটি নির্বাচনের প্রিজাইডিং অফিসার বাহাউল ইসলাম জানান, ৩০ এপ্রিল আমাকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জি,এইচ,জি,পি পৌর মাধ্যমিক বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটি নির্বাচনের জন্য দায়িত্ব দিয়েছিলেন। আমি নির্বাচনের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছিলাম। কিন্তু বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মতিয়ার রহমান কি কারণে মনোনয়নপত্র বিতরণ না করে বিদ্যালয় ছেড়ে চলে গেলেন তা আমার জানা নেই।
মহেশপুর মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা দীনেশ চন্দ্র পাল জানান, জি,এইচ,জি,পি পৌর মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক মতিয়ার রহমান আমার কাছ থেকে কোন ছুটি নেয়নি। তবে তিনি কি কারণে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটি নির্বাচনের মনোনয়নপত্র বিতরণ না করে চলে গেলেন তা আমার জানা নেই। তিনি আরো জানান, আমার কাছে কয়েকজন মনোনয়নপত্র নেয়ার জন্য ফোন করেছিলেন কিন্তু আমি বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক মতিয়ার রহমানের কাছে কয়েকবার ফোন করেছিলাম তিনি আমার ফোনটি রিসিভ করেন নি।