চৌগাছায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য, বিরোধপূর্ণ জমিতে আশ্রয়ন প্রকল্পের কাজ

এখন সময়: শুক্রবার, ১০ মে , ২০২৪, ০২:২৪:২৩ পিএম

 

নিজস্ব প্রতিবেদক: চৌগাছার পলুয়া গ্রামে সজিবর রহমান নামে এক ব্যক্তির জমিতে আদালতের নিষেধাজ্ঞা আদেশ অমান্য করে আশ্রয়ন প্রকল্পের কাজ চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গত ১৪ মার্চ এক আদেশে মামলা চলাকালীন বিরোধপূণ জমির দখল ও আকৃতি পরিবর্তন না করার আদেশ দেন আদালত। পাশাপাশি জেলা প্রশাসনসহ ৫ বিবাদীকে শোকজসহ মামলা নিস্পত্তি না হওয়ায় পর্যন্ত অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশও দেন বিচারক।  তারপরও গত ২৪ এপ্রিল জমিতে সাইনবোর্ড টানিয়ে নির্মাণ কাজ অব্যাহত রাখে প্রশাসন।

দেওয়ানী ও ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালে করা মামলার অভিযোগে জানা গেছে, চৌগাছার পলুয়া গ্রামের সজিবর রহমান পৈত্রিক সূত্রে পলুয়া মৌজার সাবেক ১৪৬৩ নম্বর দাগে ১৫ শতক জমি ভোগদখল করছেন। বংশ পরম্পরায় প্রায় ৭০ বছর ধরে এই ভোগদখল চলছে। জমির সিএস ও এসএ রেকর্ডও তার পূর্বপুরুষদের নামে।  ১৯৯১ সালে মাঠ জরিপের সময় এই জমি ভুলবত ১ নম্বর খতিয়ানে রেকর্ড হয়। যা সজীবর রহমান জানতেন না। ২০১৭ সালে এ জমি ব্যাংকে বন্দক রেখে ঋণ গ্রহণের সময় সজিবর রহমান জানতে পারেন তার পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত ১৫ শতক জমির মধ্যে ১৪ শতক জমি ১ নম্বর খতিয়ানে রেকর্ড হয়েছে। বাকি ১ শতক জমির কোনো হদিস নেই। এ ব্যাপারে সজিবর রহমান জেলা প্রশাসনসহ ৬ জনকে বিবাদী করে রেকর্ড সংশোধনীর জন্য ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনাল ও চৌগাছা সহকারী জজ আদালতে মামলা করেন। যা এখনো বিচারধীন আছে।

সজিবুর রহমানের অভিযোগে জানা গেছে, পলুয়া মৌজার ওই ১৫ শতক জমির একপাশে আশ্রিত হিসেবে সাইফুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তিকে বাড়িঘর করে বসবাস করতে দেয়া হয়। সাইফুল বাড়ি তৈরির জন্য জায়গা কিনলেও ওই জমি ছাড়তে নারাজ। হঠাৎ করে সজিবুর রহমান একদিন দেখতে পান, তার জমিতে পলুয়া আশ্রয়ন প্রকল্পের স্থান নির্ধিারণ করে একটি সাইবোর্ড টানানো হয়েছে। তিনি খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারেন, সাইফুল ইসলাম এ জমির মামলার বিষয়টি জানতে পেরে দেনদরবার করে এ জমিতে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণের মাধ্যশে সব জমি দখলের চেষ্টা করেছেন।

তিনি বলেন, আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর নির্মাণে বাধা দিলে সাইফুলের ইন্ধনে তাকে খুন-জখমের হুমকি দিয়ে তাড়িয়ে দেয়া হয় । অবশেষে তিনি নিরুপায় হয়ে দেওয়ানী মামলায় আশ্রয়ন প্রকল্পের কাজ বন্ধের আদেশ চেয়ে আদালতে আবেদন করেন। আদালত এ আবেদন মঞ্জুর করে গত ১৪ মার্চ অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা ও বিবাদীদের শোকজের আদেশ দেন। এ আদেশ অবগত হয়েও আশ্রয়ণ প্রকল্পের কাজ অব্যাহত রাখা হয়েছে।