যশোর কারাগারে সন্ত্রাসী ভাইপো রাকিব ও সম্রাটের মধ্যে মারামারি, আতঙ্ক

এখন সময়: শনিবার, ১১ মে , ২০২৪, ১২:৩৬:৩৮ এম

 

নিজস্ব প্রতিবেদক: চিহিৃত সন্ত্রাসী ভাইপো রাকিব ও তার প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসীর মধ্যে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে মারামারি হয়েছে। গত শুক্রবার এ ঘটনায় কয়েদিদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পূর্ব শত্রুতার জেরে মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে তারা। কারাগারের নিউজেলে ঘটনাটি ঘটে।

সংঘর্ষে চার থেকে পাঁচজন হাজতি আহত হন। তাদের ঠেকাতে গিয়ে দুই কাররক্ষী জখম হয়েছেন। পরবর্তীতে হুইসেল বাজিয়ে কারারক্ষীরা ভেতরে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন খুলনার কারা উপ-মহাপরিদর্শক অসীম কান্তি পাল। জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে বলে কারাগার সূত্র জানিয়েছে। দুই গ্রুপের মধ্যে পূর্ব বিরোধের জের ধরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে কারা কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে।

শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কারাগারে থাকা পরিবারের সদস্য ও স্বজনদের দেখতে অসংখ্য দর্শনার্থী অপেক্ষায় ছিলেন। হঠাৎ হুইসেল বেজে ওঠে। মুহূর্তেই মানুষ দিকবিদিক ছোটাছুটি শুরু করে। দর্শনার্থীদের দ্রুত বাইরে বের করে দেয়া হয়।

অন্যদিকে, কারারক্ষীরা যে যার অবস্থানে ছিলেন তাড়াহুড়ো করে লাঠি নিয়ে কারাগারের ভেতরে প্রবেশ করেন। এতে ওই এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। কেউ কেউ বলতে থাকে আসামি পালিয়েছে। প্রায় দেড় ঘণ্টা পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

কেন্দ্রীয় কারাগারে এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কারাভ্যন্তরের নিউজেলের সামনে সন্ত্রাসী ভাইপো রাকিব ও আরেক সন্ত্রাসী সম্রাটের মধ্যে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে হাতাহাতি হয়। এ সময় দু’গ্রুপের সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। শেষমেষ তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে দু’কারারক্ষী জখম হয়েছেন। তাদেরকে কারা হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এছাড়া আহত হাজতিদেরও সেখানে চিকৎসা দেয়া হয়।

তিনি আরও জানান, তাৎক্ষণিক কারা কর্তৃপক্ষ জড়িত সাত-আটজনকে চিহ্নিত করেছে। এদের মধ্যে কয়েকজনকে পৃথক স্থানে রাখা হয়েছে। তারা বিশেষ নজরদারিতে রয়েছে। কারাগারে মোবাইল ফোনে কথা বলা নিয়ে এ ঘটনার সূত্রপাত।

এ বিষয়ে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের সহকারী সার্জন সাজ্জাদ হোসেন বলেন, দু’কারারক্ষী ও ছয়-সাতজন হাজতিকে কারা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তারা আশঙ্কামুক্ত ও সুস্থ রয়েছেন।

যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুরাইয়া আক্তার বলেন, ঘটনাটি সামান্য। তবে আকস্মিকভাবে তাদের একজন কারারক্ষী অ্যালার্ট হুইসেল বাজিয়ে ফেলেন। এতে করে বিষয়টি বড় আকারে রূপ নেয়।

তিনি বলেন, যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে বর্তমানে শহরের দাগী কয়েকজন সন্ত্রাসী রয়েছে। তাদের মধ্যে ভাইপো রাকিব অন্যতম। এদের দুটি গ্রুপের সদস্যদের বাইরেই কোন্দল ছিল। কারাগারের ভেতরে তারা ক্ষোভ মেটানোর চেষ্টা করেছে। এ ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে কারাবিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।

তিনি বলেন, কারারক্ষীদের  ওপর হামলা চালানো হয়নি। মূলত তাড়াহুড়ো করে কারাগারের ভেতরে প্রবেশ করতে গিয়ে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন।