যশোরে তীব্র গরমে চাঙ্গা  ফ্যান-এসির বাজার

এখন সময়: বুধবার, ৮ মে , ২০২৪, ০৬:৩৪:০৩ পিএম

 

নিজস্ব প্রতিবেদক: যশোরে চলমান তাপদাহে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন। গত ১৫ দিন ধরে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে থাকায় হাঁসফাঁস অবস্থা চলছে। শুক্রবার এই জেলায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ৪০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এমন পরিস্থিতিতে ইলেকট্রনিক্স পণ্যের দোকানে এসি ও ফ্যান বিক্রি বেড়েছে। চার্জার ফ্যানের চাহিদাও অনেক।

ইলেকট্রনিক্স পণ্যের ব্যবসায়ীরা জানান, স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় বর্তমানে ফ্যান ও এসি বিক্রি ২০ থেকে ৩০ শতাংশ বেড়েছে। বাসাবাড়ির জন্যই বেশি এসি কিনছেন মানুষ। গরম বাড়ায় চাহিদা এখন ঊর্ধ্বমুখী। তবে চাহিদার তুলনায় কোম্পানিগুলোর সরবরাহে ঘাটতিও রয়েছে। নামিদামি ব্র্যান্ডের কোম্পানিগুলো চাহিদা অনুযায়ী ফ্যান সরবরাহ করছে না।

শহরের চৌরাস্তা, গাড়িখানা রোড ও আরএন রোডসহ বিভিন্ন এলাকায় ইলেট্রনিক্স পণ্যের শো-রুমগুলোয় ক্রেতার ভিড় লেগেইে থাকছে। সেখানে  বেশিরভাগ ক্রেতা এসি, সিলিং ফ্যান,স্ট্যান্ড ফ্যান, চার্জার ফ্যান ও এয়ারকুলার কিনছেন।

শহরের মাইকপট্রি এলাকার ফ্যান বিক্রেতা মিজানুর রহমান জানান, নন-ব্র্যান্ডের টাইফুন ফ্যানের দাম এখন ৮৫০ থেকে ৯০০ টাকা। অথচ গত মাসেও এগুলোর দাম ছিল ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা। ১২ ইঞ্চি ফ্যান কোথাও বিক্রি হচ্ছে ৭ হাজার ৫০০ টাকায়। আবার কোথাও ৭ হাজার টাকা।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, ছোট স্ট্যান্ড (৯-১০ ইঞ্চি) বা টাইফুন ফ্যান বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ থেকে ১৬০০ টাকায়। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের স্ট্যান্ড ফ্যান বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ২০০ থেকে ৮ হাজার টাকায়। এ ছাড়া দেশি ব্র্যান্ডের সিলিং ফ্যান ১৭০০ থেকে সাড়ে ৩ হাজার টাকা ও বিদেশি ব্র্যান্ডের সিলিং ফ্যান সাড়ে ৪ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা দাম।

রোকন ইলেকট্রনিক্সের মালিক রাশেদ হাসান রোকন জানান, প্রচণ্ড গরমে সব ধরণের ফ্যানের চাহিদা বেড়েছে। অনেকে সিলিং ফ্যান কিনছেন। আবার অনেকে চার্জার ফ্যান বা স্ট্যান্ড ফ্যানও নিচ্ছেন। এতে ব্যবসায় ভালো হচ্ছে।

যমুনার যশোরের ডিলার সিনথিয়া ইলেকট্রনিক্সের কাজী আবু ফয়েজ তুষার বলেন, যমুনার ১ টন এসি ৪১ হাজার ৪০০ টাকা ও ২ টন এসি ৬৯ হাজার ১২০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। চলতি মৌসুমে এসির দাম বাড়ানো হয়নি। গ্রি এসির দাম (ইনভাটার) ৮২ হাজার টাকা, হায়ার ৭৫ হাজার, এলজি এক লাখ ৪৫ হাজার ও ইকোপ্লাস ২ টন ৯২ হাজার টাকা।

শহরের বেজপাড়ার বাসিন্দা মুরাদ হোসেন জানান, তীব্র গরমে ঘরে ও বাইরে কোথাও থাকা যাচ্ছেনা। রাতে ঘুমানো অসম্ভব হয়ে উঠেছে। বাধ্য হয়ে বাড়ির জন্য একটি এসি কিনেছেন। সুযোগ বুঝে কোম্পানিগুলো দাম বাড়িয়েছে সব এসির।