পাইকগাছায় তাপদাহে ঝরে পড়ছে আমের গুটি

এখন সময়: শনিবার, ৪ মে , ২০২৪, ০২:১৭:৫৩ এম

 

প্রকাশ ঘোষ বিধান, পাইকগাছা: টানা তাপদাহ আর খরায় পাইকগাছায় আমের গুটি ব্যাপক হারে ঝরে পড়ছে। এ অবস্থায় ফলন বিপর্যয়ের পাশাপাশি আম নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন আম চাষিরা। মৌসুমের শুরুতে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আম গাছে প্রচুর মুকুল ধরলেও সে অনুযায়ী গুটি ধরেনি। তারপর বৃষ্টির অভাবে গাছ থেকে ঝরে পড়ছে আমের গুটি।

বৈশাখের শুরুতে প্রচণ্ড তাপদাহ শুরু হয়েছে। তীব্র খরায় যেন পুড়ছে দেশ। খুলনার ওপর দিয়ে বয়ে চলেছে তাপপ্রবাহ। দেখা নেই বৃষ্টির। উপকূলে লবণ হাওয়ায় তাপমাত্রা আরও বেশি অনুভূত হচ্ছে। তবে বৃষ্টির অভাবে গুটি ঝরে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন আম চাষি ও বাগান মালিকরা। উপজেলায় ৫৮৫ হেক্টর আম বাগান রয়েছে। উপজেলার গদাইপুর, গোপালপুর, হিতামপুর, মালত, হরিঢালী, কপিলমুনি, সলুয়াসহ বিভিন্ন গ্রামে আমগাছ রয়েছে। এ ছাড়া সড়কের পাশে ও উপজেলা ৪ ইউনিয়নে আম বাগানে রয়েছে বিভিন্ন উন্নত জাতের আমগাছ।

এ বছর আমের কম গুটি আসার পরও আমচাষি এবং বাগান মালিকরা বুক বেঁধেছিলেন লাভের আশায়। কিন্তু বর্তমানে অনাবৃষ্টি ও তাবদাহে গাছ থেকে ঝরে পড়ছে স্বপ্নের সেই আমের গুটি। যদিও কেউ কেউ রাত ও খুব ভোরে গাছের গোড়ায় সেচ ও স্প্রে করে চেষ্টা করছেন আমের গুটিকে বাঁচানোর। কিন্তু অধিকাংশ চাষি পুঁজি এবং পানির অভাবে সেচ দিতে পারছেন না।

সরজমিনে  দেখা যায়, এলাকার আম গাছের নিচে অসংখ্য ছোট, মাঝারি ও বড় আমের গুটি ঝরে পড়ে রয়েছে। উপজেলার গোপালপুর গ্রামের আমবাগান মালিক আবুল কালাম বলেন, আমার আমের বাগানে খরার কারণে আমের গুটি ঝরে পড়ছে। তারপর বৃষ্টির দেখা নেই। দিন দিন তাপমাত্রা বাড়ছে। বাগানের গাছে তিন ভাগের এক ভাগ আম ঝরে পড়েছে। বৃষ্টি না হওয়ায় আম নিয়ে বেকায়দায় রয়েছি। গদাইপুর গ্রামের আমচাষি মোবারক ঢালী বলেন, তীব্র খরার কারণে আমের গুটি ঝরে গেছে। আমগাছে সেচ ও কীটনাশকের মিশ্রণ ম্প্রে করেও গুটি টেকানো যাচ্ছে না। এ সময় বৃষ্টি না হওয়ায় আম নিয়ে চিন্তায় রয়েছি। বাগানের দক্ষিণের গাছগুলোর গুটি ঝরেছে।

উপজেলার কৃষি অফিসার কৃষিবীদ অসিম কুমার দাশ বলেন, খরার জন্য আমের গুটি ঝরে যাচ্ছে। তাপমাত্রা বাড়ার পরেও আমের গুটি যেটুকু ঝরছে সেটা স্বাভাবিক। কৃষক বা চাষিদের হতাশার কিছু নেই। গুটি বেশি ঝরছে মনে হলে সেচ দিতে হবে।  গাছের গোড়ায় পানি দেয়াসহ ছত্রাকনাশক ওষুধ স্প্রে করার জন্য পরামর্শ দেয়া হচ্ছে । এ সময় আম রক্ষার্থে বাগান মালিক ও চাষিদের গাছের গোড়া মাটি দিয়ে গোল করে বেধে বেশি করে পানি দিলে আমের গুটি কম ঝরবে।