চৌগাছায় বোরো ধানের বাম্পার ফলন, শ্রমিক সংকটের আশঙ্কা

এখন সময়: বৃহস্পতিবার, ৯ মে , ২০২৪, ০৩:৫৫:০৪ পিএম

 

বাবুল আক্তার, চৌগাছা: ফসলের মাঠজুড়ে বাতাসে দুলছে কৃষকের সোনালি স্বপ্ন । এবার বোরো ধানের বাম্পার ফলনের সুবাস পাচ্ছেন কৃষকরা। যশোরের চৌগাছা উপজেলার কৃষক পরিবারে এখন পাকা ধানের মৌ মৌ গন্ধ। মাঠে মাঠে আনন্দে মাতুয়ারা সোনালী ধানের শীষ। প্রতিটি শীষে যেন কৃষকের জীবনের স্বপ্ন ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে। অন্যদিকে সঠিক সময়ে বোরো ধান ঘরে তুলতে পারা নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন উপজেলার চাষীরা। প্রচন্ড তাপদাহে শ্রমিক সংকটের আশঙ্কা করছেন তারা। তার পরেও মাঠে মাঠে ধান কাটার উৎসবের আমেজ। কৃষাণ-কৃষাণীরা মনে বইছে আনন্দের বন্যা।

উপজেলা জুড়ে ধানের বাম্পার ফলনে বাধ-ভাঙ্গা আনন্দ-উল্লাসে মেতে উঠেছে কৃষকের মন।  দিগন্তজুড়া সোনালী ফসলের মনোরম দৃশ্য এখন গোটা উপজেলা জুড়ে।  কোনো এলাকায় দু’একজন চাষী ধান কাটলেও এক সপ্তাহ পরে শুরু হবে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ। ফসল কাটার মহোৎসবে ব্যস্ততম সময় কাটাবেন এখানকার কৃষকরা। প্রচণ্ড তাপদাহে খুব সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলবে সোনালী স্বপ্ন ঘরে তোলা সংগ্রাম।

উপজেলার বাদেখড়িঞ্চা গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে রিপন হোসেন মফিজুর রহমান জানান , তারা তিন বিঘা করে বোরো ধান চাষ করেছেন। তারা নিজের ক্ষেত নিজেই পরিচর্চা করেছেন। তার পরেও যে খরচ হয়েছে তাতে কম পক্ষে ১৫’শ টাক মন দরে ধান বিক্রি করতে পারলে তাদের জন্য ভালো হবে।

পাশাপোল গ্রামের মমিনুর রহমান, কয়ারপাড়া গ্রামের ইউনুচ অলী, মাসুদুর রহমান, আবুকালাম, রামকৃষ্ণপুর গ্রামের নুরুজ্জামান, বলেন, এক বিঘা জমির ধান মাড়াই পর্যন্ত প্রায় ২০/২৫ হাজার টাকা খরচ। তবে যারা  বিদ্যুৎচালিত সেচপাম্পের পানি এবং  নিজেরাই পরিচর্চা করেছেন তাদের জন্য খরচ একটু কমবে। সেক্ষেত্রে প্রতি মন ধান ১৫’শ টকার উপরে বিক্রি করতে পারলে তাদের উঠবে।

উপজেলার কুলিয়া গ্রামের চাষি আলতাফ হোসেন বলেন, এবছরও বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। জেলায় চলছে তাপদাহ। কয়েকদিনের মধ্যে ধান কাটা শুরু হবে। তাপদাহের মধ্যে শ্রমিক সংকটের আশঙ্কা রয়েছে বলে তিনি জানান।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে এ বছর বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ১৮ হাজার ২০০ হেক্টর। চাষ হয়েছে ১৮ হাজার  হেক্টর জমিতে। যার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭৯ হাজার ২০০ টন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোসাব্বির হোসাইন বলেন, এবছরে ধানের আবহাওয়া ভালো। তাপে ধানের তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি। ইতোমধ্যে দু’একজন কৃষকরা ধান কাটতে শুরু করেছেন। উপজেলা অধিদফতরের পক্ষ থেকে কম্বাইন হারভেস্টার মেশিন দিয়ে রোবধান কাটা শুরু করা হবে। এতে শ্রমিক সংকট অনেকটা কমে আসবে। তা ছাড়া যেসব ক্ষেতে ধান নুয়ে পড়েছে সেসব ক্ষেতের ধান দ্রুত কাটার জন্য আমরা কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছি।