মোমিননগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক কারাগারে

এখন সময়: বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল , ২০২৪, ০৩:১৩:১১ পিএম

নিজস্ব প্রতিবেদক: যশোর মোমিনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি ও জালিয়াত মামলায় আত্মসমর্পণকারী সহকারী প্রধান শিক্ষক নারায়ন চন্দ্র বিশ্বাসকে কারাগারে পাঠিয়ে আদালত। একই সাথে অপর আসামি এমদাদুলের জামিন মঞ্জুর করেছে।

সোমবার আসামিদের জামিন আবেদনের শুনানি শেষে সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ ইখতিয়ারুল ইসলাম মল্লিক এ আদেশ দিয়েছেন। নারায়ন চন্দ্র বিশ্বাস মণিরামপুরের পাঁচকাটিয়া গ্রামের মৃত হারান চন্দ্র বিশ্বাসের ছেলে।

মামলার অভিযোগে জানা গেছে, মোমিন নগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগে প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগে ২০২০ সালের ২ ফেব্রুয়ারি জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মামলা করেছিলেন অভিভাবক সদস্য বোলপুর গ্রামের আব্দুল ওহাব আলী। মামলায় আসামি করা হয়েছিল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন ও প্রধান শিক্ষক রেজাউল হক মালিতাকে। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছিল, প্রধান শিক্ষক প্রথমে একটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিলেন। পরবর্তীতে তিনি কোনো পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি না দিয়ে জালিয়াতি করে পত্রিকা তৈরি করে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছিলেন।

আদালতে তৎকালীন বিচারক অভিযোগটি গ্রহণ করে দুর্নীতি দমন কমিশনকে তদন্তের আদেশ দিয়েছিলেন। এ মামলার তদন্ত শেষে দুদকের তদন্তকারী কর্মকর্তা সহকারী পরিচালক মোহা. মোশাররফ হোসেন ৬ জনকে অভিযুক্ত ও একজনের অব্যাহতি চেয়ে গত ৪ জুলাই জেলা ও দয়রা জজ আদালতে চার্জশিট জমা দেন।

অভিযুক্ত আসামিরা হলো বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেজাউল হক মালিতা, নিয়োগ কমিটির সদস্য সচিব জিলা স্কুলের তৎকালীন প্রধান শিক্ষক ফরিদুল ইসলাম, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কামরুজ্জামান মো. জাহাঙ্গীর হোসাইন মিঞা, মোমিন নগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক ইসহক আলী, সহকারী প্রধান শিক্ষক নারায়ন চন্দ্র বিশ্বাস ও সহকারী শিক্ষক ইমদাদুল হক। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ না পাওয়ায় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শহিদুল ইসলামের অব্যাহতির আবেদন করা হয়েছে চার্জশিটে।

গত ১৮ সেপ্টেম্বর সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ চার্জশিটের উপর শুনানি শেষে শহিদুল ইসলামকে অব্যাহতি ও অপর আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট গৃহিত করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছেন। এ বিষয়টি জানার পর উপজেলা শিক্ষা অফিসার ও জিলা স্কুলের সাবেক প্রধান শিক্ষক আদালতে আত্মসমর্পণ করে অন্তর্বর্তী জামিন নিয়েছেন। গতকাল আসামি নারায়ন চন্দ্র ও এমদাদুল হক আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেছিলেন। বিচারক আসামিদের জামিন আবেদনের শুনানি শেষে এমদাদুলের জামিন মঞ্জুর ও নারায়ন চন্দ্রের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।