ঝিকরগাছার গৃহবধূর মৃত্যু নিয়ে গুঞ্জন

এখন সময়: বুধবার, ২৪ এপ্রিল , ২০২৪, ০১:০৫:১২ এম

এম আলমগীর, ঝিকরগাছা: যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার পল্লীতে গৃহবধূর মৃত্যু নিয়ে নানা গুঞ্জন উঠেছে। তিনি আত্মহত্যা করেছে না কি কেউ তাকে হত্যা করে লাশ ঝুঁলিয়ে রেখেছে এ নিয়ে চলছে নানা জল্পনা। গ্রামবাসীর মাঝে দেখা দিয়েছে নানা কৌতুহল। ঘটনাটি উপজেলার হাজিরবাগ ইউনিয়নের মহেশপাড়া গ্রামে ঘটেছে। তবে পুলিশ বলছে, ময়না তদন্তে বোঝা যাবে এটা হত্যা নাকি আত্মহত্যা। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে।

সরেজমিনে জানা যায়, রোববার বিকালে উপজেলার হাজিরবাগ ইউনিয়নের মহেশপাড়া গ্রামের আহসান রেজার স্ত্রী সেলিনা খাতুন(৩০) কে তার নিজ ঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে বেডের উপরে হাঁটু ভেঙে থাকতে দেখা যায়। এ সময় তার এক চাচাশ^শুর সেলিনা খাতুনের পিতা শার্শা উপজেলার বালুন্ডা গ্রামের কদর আলীকে খবর দিলে তিনি এসে মেয়ের লাশ নামান। এর আগে সেলিনার শ^শুর বাড়ির লোকজন কেউ সেই লাশ নামায়নি। ফলে জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। কেন গৃহবধূ সেলিনার লাশ তার শ^শুর-শাশুড়ি নামালো না? কেন তার বাবার বাড়িতে সেলিনার মৃত্যুর খবর জানালো না? তাহলে কি সেলিনা আত্মহত্যা করেছে নাকি তাকে হত্যা করা হয়েছে? এ প্রশ্ন দেখা দিয়েছে গ্রামবাসীর মাঝে? তবে সেলিনার শ^শুর মাস্টার আজিজুল ইসলাম ও তার ছেলে পলাতক রয়েছে। তবে ঝুলন্ত লাশের ছবি দেখে আতœহত্যা করেছে, সেটা বোঝা যাবে না। তাকে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে বলে যে কেউ বুঝতে পারবে। কারণ গলায় দড়ি দিলে তার মৃতদেহ উপরে ঝুলে থাকবে কিন্তু তার মৃতদেহ বেডের উপরে হাঁটু ভেঙে ঝুঁলিয়ে রাখা ছিল।

এ ব্যাপারে সেলিনা খাতুনের পিতা কদর আলী এ প্রতিনিধিকে জানান, মেয়ের এক প্রতিবেশী চাচা শ^শুর আমাকে ফোন দিয়েছে। আমার আসতে প্রায় ৪০/৪৫ মিনিট সময় লেগেছে। এসে দেখি ২য় তলায় আমার মেয়ের বেডরুমে বেডের উপরে হাঁটু ভেঙে আমার মেয়ে ঝুঁলে আছে। তাদের বাড়ির কেউ নেই। কেন লাশ নামানো হলো না? এক প্রশ্নে জবাবে তিনি জানান, আমার কাছে তার সমস্যার কথা বলতে চেয়েছিল কিন্তু বলিনি। আমাকে জানায়, আমাদের বাড়িতে গিয়ে তারপর বলবে কিন্তু আমার বাড়িতে যাওয়া হলো না তার।

ইউপি সদস্য আলাউদ্দীন জানান, আহসান রেজার সাথে সেলিনার প্রথম বিয়ে হয়। পরে এদের তালাক হলে উভয়ই নতুন জায়গায় বিয়ে করে। সেখানে সেলিনার এক মেয়ে ও আহসান রেজার দুই সন্তান রয়েছে। পরে এদের দুজনের মধ্যে আবারও যোগাযোগ হলে আহসান রেজা তার দ্বিতীয় বউ ও সেলিনা তার দ্বিতীয় স্বামীকে তালাক দিয়ে তারা আবারও ঘর-সংসার শুরু করে। তবে তাদের মধ্যে সম্পর্ক ভাল যাচ্ছিল না বলে লোকমুখে শোনা যাচ্ছিল।

এ ব্যাপারে ঝিকরগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ সুমন ভক্ত জানান, আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি এটা আত্মহত্যা। তবে ময়না তদন্তের রিপোর্ট পেলে পরিষ্কারভাবে জানা যাবে। তবে ঘটনায় সেলিনার পিতা কদর আলী বাদি হয়ে থানা একটি অপমৃত্যু মামলা করেছেন।