জি. এম. আসলাম হোসেন, কপিলমুনি (খুলনা) : কপিলমুনির জাফর আউলিয়া সড়কে ভয়াবহ যানজট হচ্ছে। প্রশাসনের নজরদারি না থাকায় এর ভয়াবহতা আরো তীব্র আকার ধারণ করেছে। জন গুরুত্বপূর্ণ এই সড়ক দিয়ে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীসহ প্রতিদিন হাজার হাজার পথচারী যাতায়াত করে থাকে। শুধু সরকারের রাজস্ব খাতের একটা বড় অংশ আসে বাগদা চিংড়ির খাত থেকে, আর এই চিংড়ি উৎপাদন হয় গোয়াল বাথান তালতলা, বকুলতলা, শ্রিফলতলা, ধোনার দোয়ানিয়া, খলসিখালী, হাউলী, কামার আবাদ, পুটিমারী, আমড়াতলাসহ এ অঞ্চলের উৎপাদিত বাগদা চিংড়ি এই সড়ক পথে বহন করে। তাছাড়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এই এলাকায় অবস্থিত হওয়ার কারণে এই সড়কের গুরুত্ব আরো বেড়ে গেছে। পোস্ট অফিস, কপিলমুনি ইউনিয়ন পরিষদ, অগ্রণী ব্যাংক, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক, মেহেরুন্নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় বড় বড় ব্যবসায়ী মার্কেট, কপিলমুনি ডিগ্রি কলেজ, বিভিন্ন এনজিও প্রতিষ্ঠান, রেন্ট এ কারের গ্যারেজসহ বিভিন্ন সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। আর এই প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা কর্মচারীসহ এ সকল প্রতিষ্ঠানের সাথে সংশ্লিষ্টদের যাতায়াত এই সড়ক দিয়ে।
স্থানীয়রা জানান, ভ্যান মোটর ভ্যান রাখার নির্দিষ্ট কোন জায়গা না থাকায় এই সড়কের দু’ধারে সারিবদ্ধ ভাবে রেখে সড়কটি সংকুচিত করে রাখে যে কারণে পিকাপ, মাইক্রো, প্রাইভেটকার এ সড়কে প্রবেশ করলে শুরু হয় যানজট, আর এই যানজটের কবলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে পড়ে স্কুল কলেজ গামী শিক্ষার্থীরা। এছাড়া মুমূর্ষ রোগী বহনকারী গাড়ি আটকে থাকার ফলে অনেক রোগী নির্ধারিত হাসপাতালে পৌঁছানোর আগে মারা যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। কোনো কিছুর তোয়াক্কা না করে ভ্যান চালকরা এ সড়কের প্রবেশ মুখ বন্ধ করে ভ্যানের উপর ঠাঁই বসে থাকে। সরানোর কথা বললেও যখন কোন কথায় কর্ণপাত না করে তখন বাধে বিপত্তি, কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা। তাছাড়া ছোট খাট দুর্ঘটনা তো লেগে থাকে। এই সড়কে ভ্যান, মোটর ভ্যান অপসারণ করে প্রশাসন সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট যানজট মুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভূগী মহল।