পৈত্রিক জমি ফেরত চাওয়ায় হতে হলো ধর্ষণ ও হত্যা চেষ্টা মামলার আসামি

এখন সময়: শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল , ২০২৪, ০৩:৩৮:১৩ এম

এম আলমগীর, ঝিকরগাছা: পৈত্রিক জমি ফেরত চাওয়ায় ধর্ষণ চেষ্টা ও হত্যা চেষ্টা মামলার আসামি হতে হয়েছে ষাটোর্ধ্ব মকবুল হোসেনসহ তার পরিবারকে। চাচাতো ভাই আবু তালেব সরদার তাদেরকে হয়রানি করার জন্য ছেলের বউকে দিয়ে এ মিথ্যা মামলা দিয়েছে বলে আসামি পক্ষের অভিযোগ। ঘটনাটি যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার বাঁকড়া গ্রামের।

জানা যায়, উপজেলার বাঁকড়া গ্রামের মকবুল হোসেন ও তার চাচাতো ভাই আবু তালেব সরদারের সাথে জমি নিয়ে বিরোধের সৃষ্টি হয়। মকবুল হোসেনের অভিযোগ, তার চাচাতো ভাই আবু তালেব সরদার তাদের তিন ভাইয়ের ১১৪ শতক জমি বেশি নিয়েছে। রেকর্ড অনুযায়ী তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি সঠিক বন্টন না করে আবু তালেব সরদার ১১৪ শতক জমি বেশি নিয়েছে। সম্প্রতি কাগজপত্র দেখে তার কাছে জমি দাবী করলে সে বিভিন্নভাবে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে।

ঘটনায় আবু তালেব সরদার তার মেজো বউমা জলি খাতুনকে দিয়ে বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ যশোরে একটি ধর্ষণ ও হত্যা চেষ্টা এবং হত্যার হুমকি প্রদান করার মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন। যার নং-৭০/২২, তারিখ- ১১/০৪/২০২২ ইং এবং ধারা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন,২০০০ (সংশোধনী) ২০০৩ এর ৯(৪)(খ)তৎসহ ৩২৩/৩২৪/৩০৭/৩৮০/৫০৬(২) দঃবিঃ। ষাটোর্ধ্ব মকবুল হোসেন সহ আসামি করা হয়েছে তার ভাই আবু বক্কর, ছেলে ফারুক হোসেন, ভাইপো খায়রুল ইসলাম ও তরিকুল ইসলাক।

মামলাটি তদন্ত করছেন যশোর পিবিআই এর এসআই মিজানুর রহমান মিজান। তিনি এ প্রতিনিধিকে জানান, মামলাটি সবে তদন্ত শুরু করেছি। তদন্ত প্রক্রিয়াধীন আছে। তদন্ত শেষ হলে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।

মামালার সাক্ষী বাঁকড়া বাজারের পল্লী চিকিৎসক আলতাপ হোসেন জানান, আমি কিছুই জানি না। আমার কাছে এসে অসুস্থতার কথা বললে আমি দেখে-শুনে ওষধ লিখে দিয়েছি। মামলার সাক্ষী করা হয়েছে আমি তাও জানি না।

মামলার আসামি মকবুল হোসেন বলেন, আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তি ১১৪শতক জমি আবু তালেবের কাছে বেশি আছে। সেটা চাওয়ার কারণে আমাদের নামে মিথ্যা মামলা ও হয়রানি করছে।

মামলার প্রধান আসামি খ্য়ারুল ইসলাম জানান, আমি মামলার বাদির সাথে কোনদিন কথা বলেছি বলে মনে পড়ে না। জমি যাতে না দিতে হয়, সেজন্য আমাদের নামে এসব জঘন্য মামলা দিচ্ছে। এতে করে আমরা পারবারিকভাবে সমাজের মানুষের কাছে ছোট হয়ে যাচ্ছি।

আবু তালের সরদার জানান, ৬২ রেকর্ড ও মাঠ পর্চা আমার নামে কিন্তু নব্বই রেকর্ডে তাদের নামে করে নিয়েছে। আমি জানতাম না। মামলার বিষয়ে তিনি বলেন, ঘটনা না ঘটলে কেন মামলা হবে?