বাজারের ব্যাগে থাকা নকল হেরোইনসহ আটক, পরে মুক্ত

এখন সময়: শুক্রবার, ২৯ মার্চ , ২০২৪, ০৫:৪৬:২২ পিএম

নিজস্ব প্রতিবেদক, মহেশপুর  : ঝিনাইদহের মহেশপুরে বাজারের ব্যাগে থাকা নকল হেরোইনসহ আজিজুল ইসলামকে আটক করেছে পুলিশ। সে শ্যামকুড় ইউনিয়নের গুড়দাহ গ্রামের এরশাদ আলীর ছেলে। তবে তার কাছ থেকে হেরোইন উদ্ধার নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে।

আজিজুলের সাথে কথা বলেন ওসি সেলিম মিয়া। তার (আজিজুল) কান্না ও আচরণে বুঝতে পারেন তিনি মাদকের সাথে জড়িত না। এরপর প্রকৃত রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা চালান ওসি সেলিম মিয়া। উদ্ধারকৃত হেরোইন আসল কিনা তা সন্দেহ হলে বিভিন্ন পরীক্ষার পরে প্রমাণ হয় তা হেরোইন না। এতে বিষয়টি পরিষ্কার হয় হেরোইনের সাদৃশ্য দিয়ে কেউ নিরাপরাধ ব্যক্তিকে ফাঁসানোর চেষ্টা করেছে। এরপর শুক্রবার রাতেই তাকে মুক্তি দেয়া হয়।

থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, থানার এস আই হাফিজুর রহমানের মোবাইলে জনৈক ব্যক্তি ফোন করে সংবাদ দেন আজিজুল হেরোইনের ব্যবসা করেন। তার বাড়িতে তল্লাশী করলে হেরোইন পাওয়া যাবে। বিষয়টি মহেশপুর থানার ওসি সেলিম মিয়াকে জানানো হলে তিনি অভিযান চালাতে নির্দেশ দেন। আজিজুলের বাড়ি তল্লাশী করে কোনো হেরোইন পাওয়া না গেলে ফোন দেয়া হয় সেই সংবাদদাতাকে। তখন তিনি বলেন আজিজুলের বাজারের ব্যাগের মধ্যে হেরোইন আছে। তার কথা মিলে গেলে হেরোইনসহ আজিজুলকে থানায় ধরে নিয়ে আসা হয়।

এরপর ওসি সেলিম মিয়া আটকৃকত ব্যক্তির কথা-বার্তায় ও উদ্ধারকৃত হেরোইন দেখে সন্দেহ হয়। পরে প্রমাণিত হয় হেরোইনের মত দেখতে হলেও এটা হেরোইন না। এদিকে আটককৃত ব্যক্তির কথোপোকথনে তিনি স্পষ্ট বুঝতে পারেন কেউ তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করেছে। পরে তিনি পুলিশ সুপার মুনতাসিরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করে আটককৃত ব্যক্তিকে মুক্তি দেন।

মুক্তি পাওয়া আজিজুল সাংবাদিকদের বলেন, আমাকে ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হয়েছিলো।

ওসি সেলিম মিয়া বলেন, প্রথমে আটককৃত ব্যক্তির কান্নায় ও কথা-বার্তায় কেমন জানি সন্দেহ হয়েছিল। পরে উদ্ধারকৃত হেরোইন পরীক্ষা করে দেখি তা ভুয়া। এরপর উপর মহলের সাথে কথা বলে আমি তাৎক্ষণিক ভাবে তাকে মুক্ত করি। আমি চাই না আমি থাকতে মহেশপুর থানার কোনো নিরাপরাধ ব্যক্তি সাজা পাক। 

এদিকে ওসির বিচক্ষণতায় নিরাপরাধ ব্যক্তির মুক্তি দেয়ার ঘটনা জানাজানি হলে এলাকাবাসী ওসি সেলিমকে প্রশংসার জোঁয়ারে ভাসান। উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আজিজুল আজাসহ প্রায় শতাধিক এলাকাবাসী এসে ওসি  সেলিম মিয়া ধন্যবাদ জানান।