নওয়াপাড়ার নুরবাগে যানজট বিপাকে সাধারণ মানুষ

এখন সময়: বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল , ২০২৪, ১১:২০:৫৩ এম

অভয়নগর (যশোর) প্রতিনিধি: শিল্প, বাণিজ্য ও বন্দর নগরী নওয়াপাড়া নুরবাগ স্বাধীনতা চত্বরে যানজট চরম আকার ধারণ করেছে। যে কারণে চরম বিপাকে পড়েছে সাধারণ মানুষ।

জানাগেছে, প্রতিনিয়ত সকাল থেকে গভীররাত পর্যন্ত উপজেলার শিল্প-শহর নওয়াপাড়ার হাসপাতাল সড়ক নুরবাগ স্বাধীনতা চত্বরে যানজট প্রকট আকার ধারণ করছে। এখানে যানজট শুরু হলে ৩০মিনিট থেকে ঘন্টা ও অপেক্ষা করতে হয় রোগীসহ সাধারণ মানুষের। বিশেষ করে প্রতিদিন বেলা বাড়ার সাথে সাথে যানজট লেগেই থাকে।

সরেজমিনে, সড়কের দুপাশে যত্রতত্র ভ্যান, রিক্সা, মোটরসাইকেল, সিএনজি, অটোরিক্সা ও থ্রি হুইলারের স্ট্যান্ড এবং দু’পাশে ফুটপাত অবৈধভাবে গড়ে ওঠেছে দোকানঘর। পথচারীদের অভিযোগ, সড়কের যানজটের মূল কারণ নওয়াপাড়া নূরবাগ হতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দূরত্ব এক কিলোমিটার। উপজেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এ সড়ক দিয়েই রোগীদের যাতায়াত। অনেক সময় রোগী নিয়ে দীর্ঘক্ষণ যানজটে আটকা থেকে রোগীর অবস্থা শেষ পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছায়।

এছাড়াও ফুলতলা মণিরামপুর, কেশবপুর, বসুন্দিয়া, ডুমুরিয়া ও ঝিকরগাছা উপজেলাসহ সাতক্ষীরা জেলার সাথে সংযোগ স্থাপন করেছে এ সড়কটি। ফলে এটি শহরের অত্যন্ত ব্যস্ততম ও গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। বাজারের প্রাণকেন্দ্র নূরবাগ হাইওয়ের উপর দু’পাশে রয়েছে যাত্রীবাহী বাস, ভ্যান, রিক্সা, সিএনজি, অটোরিক্সা ও থ্রি হুইলারের স্ট্যান্ড। এরপর হাসপাতাল রোডের মুখেই ঠাঁই দাঁড়িয়ে থাকে মোটরচালিত ভ্যান, রিক্সা ও অটোরিক্সা। এর ৫০গজ পার হতে না হতেই স্বাধীনতা চত্বর সড়কের দুপাশে রয়েছে পাঁচটি স্ট্যান্ড।  স্থানীয় ইমামুল শেখ, হাবিব হোসেন, তাম্মান আহমেদ অভিযোগ করে বলেন, দু’পাশের দোকানদার’রা রাস্তার পরেই টিনের সেড দিয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান করছেন। অনেক ব্যবসায়ী তাদের দোকানের সামনে রাস্তার উপর উপ-ভাড়াটিয়া দিয়ে দোকান বসিয়েছেন।

এছাড়া রাস্তার পাশে ভ্যানের উপর ফল ও কাঁচামাল রেখে অনেকে ব্যবসা করছেন। অধিকাংশ সময়ই ট্রাক সড়কের উপর দাঁড়িয় পণ্য লোড-আনলোড করে থাকে। ফলে প্রতিনিয়ত নওয়াপাড়ার এ গুরুত্বপূর্ণ সড়কে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়

সতেনমহল জানান, স্বাধীনতা চত্বর হল চার রাস্তার সংযোগ সড়ক। এ স্থানে স্থায়ীভাবে ট্রাফিক পুলিশ থাকার প্রয়োজন হয়ে পড়েছে।

 উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেজবাহ উদ্দীন বলেন, বিষয়টি পৌর এলাকায় হওয়ায় পৌর মেয়রকে সমাধানের জন্য বলা হয়েছে।