মাগুরায় সয়াবিন তেলের তীব্র সংকটে বিপাকে ক্রেতারা

এখন সময়: শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল , ২০২৪, ১০:০০:১৭ পিএম

মাগুরা প্রতিনিধি : মাগুরার বাজারগুলোতে বোতলজাত সয়াবিন তেলের তীব্র সংকট থাকায় বিপাকে পড়েছেন সাধারণ ক্রেতারা। শনিবার সকালে মাগুরা পুরাতন বাজার, নতুন বাজারসহ নিত্যপণ্যের সর্বত্র দোকান গুলোতে কোনো বোতলজাত সয়াবিন তেল পাওয়া যায়নি। ফলে বাজারে অধিকাংশ ক্রেতারাই তেল না পেয়ে ফিরে গেছেন। রমজানের শুরু থেকেই বাজারে সয়াবিন তেলের কিছুটা সংকট ছিল। কিন্তু রমজান পার হলেই সরকার যখন তেলের দাম বাড়িয়ে দিল ঠিক তখনই বাজার থেকে সয়াবিন তেল উধাও হয়ে গেল। সরকার খোলা সয়াবিন তেল ১৮০ টাকা নির্ধারণ করে দিলেও মাগুরার বাজারে শনিবার খোলা সয়াবিন তেল লিটার প্রতি ২১০টাকা  ও পাম ওয়েল তেল ২শ’টাকা লিটার দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে ।

বাজারের ব্যবসায়ীরা বলছেন, জেলার ডিলাররা আমাদের চাহিদা অনুযায়ী তেল দিচ্ছে না। ফলে বাজারে এ সংকট দেখা দিয়েছে। কবে এ সংকট কাটবে আমরা জানি না। রমজানের শুরুতেই বাজারে সয়াবিন তেলের সংকট ছিল। রমজানে ডিলাররা আমদের চাহিদা অনুসারে তেল সরবরাহ করতে পারিনি। যেটুকু সরবরাহ করেছে তা চাহিদার তুলনায় খুবই সামান্য ।

ষাট উর্ধ্ব বয়সী সাইদুর রহমান নামে এক সাধারণ ক্রেতা জানান, আমি রমজানের শুরু বাজার থেকে ৫ লিটার সয়াবিন তেল ক্রয় করেছিলাম। কিন্তু সেই তেল দিয়ে আমার সংসার পুরোপুরি চলেনি। ২০ রমজানে বাজারে এসে তেলের সংকট দেখেছি ফলে খোলা সয়াবিন তেল লিটার প্রতি ১৭৫ টাকা দরে ক্রয় করি। বর্তমানে বোতলজাত সেয়াবিন তেল বাজারে নেই। খোলা সয়াবিন তেল বাজারে লিটার প্রতি ২১০ টাকা বিক্রি হচ্ছে যা আমার ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। আমি সামান্য একজন সরকারি অবসরপ্রাপ্ত চাকরিজীবী। অল্প টাকা পেনশন তুলে সংসার চলে না। ফলে আগামী দিনগুলোতে কিভাবে বাঁচব ভাবছি।

চা বিক্রেতা সেন্টু দত্ত জানান, সারাদিন দোকান করে ৫শ’ টাকা আয় করি। এ টাকা দিয়ে সংসার চলে না। চালের দামসহ নিত্যপণ্যের দাম অনেক বেশি। তার উপর সয়াবিন তেলের দাম বৃদ্ধিতে আমাদের বেচেঁ থাকা খুবই কঠিন।

বেসরকারি স্কুল শিক্ষক ফারুকুর রহমান জানান, আমাদের আয় সামান্য। এমনিতে বাজারে নিত্যপণ্যের দাম খুবই বেশি। তার উপর সয়াবিন তেলের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধিতে সাধারণ মানুষ খুবই মানবেতর জীবনযাপন করছে। তিনি আরো জানান, ডিলার ও ব্যবসায়ীরা তেল গুদামজাত করে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করেছে। যা প্রভাব পড়ছে সাধারণ ক্রেতাদের উপর। এ বিষয়ে প্রশাসনের বাজার নজরদারি ও মনিটরিং একান্ত প্রয়োজন।

জেলার ডিলাররা বলছে, আমাদের গোডাউনে কোনো তেল নেই। আমাদের চাহিদা অনুযায়ী আমরা সরকারের কাছ থেকে তেল সরবরাহ করতে পারছি না। আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের মূল্য বৃদ্ধিতে আমাদের দেশের তেলের বাজার আজ অস্থির। আমাদের কাছে তেল না থাকায় আমরা বাজারের দোকানগুলোতে সরবরাহ করতে পারছি না ।