জাতীয় পার্টি অফিসে সারা বছরই তালা

এখন সময়: শুক্রবার, ২৯ মার্চ , ২০২৪, ১০:৪১:৫২ এম

নিজস্ব প্রতিবেদক, মণিরামপুর: কমিটি রয়েছে, দলীয়ও কার্যালয়ও রয়েছে, নেই তেমন কোন কার্যক্রম। অফিস কবে খোলা থাকে তাও বলতে পারেন না অনেকেই। অফিস এলাকার ব্যবসায়ীরা জানান, বছরে দু’একদিন খুলতে দেখা যায়। তবে দলের নেতারাও জানিয়েছেন তাদের হতাশার কথা। এ অবস্থা চলছে মণিরামপুর উপজেলা জাতীয় পার্টির।

 

খোঁজখবর নিয়ে জানাযায়, বর্তমানে উপজেলা জাতীয় পার্টির ৫১ সদস্যের আহবায়ক কমিটি রয়েছে। গত ৭ মাস চলছে কাগজে-কলমে এ কমিটি। এ কমিটির আহবায়ক এমএ হালিম ও সদস্য সচিব মঈনুদ্দীন খান। মণিরামপুর পৌর শহরের আওয়ামী লীগের পুরাতন কার্যালয়ের একটু পূর্বদিক জাতীয় পার্টির দলীয় কার্যালয়টি অবস্থান। সাইনবোর্ডটি দেখেই জনগণ বুঝতে পারেন এটি মণিরামপুর জাতীয় পার্টির দলীয় কার্যালয়। কার্যালয়টির তালা না খোলা এবং দলীয় নেতাকর্মীদের তেমন আসা-যাওয়া না থাকায় জনশুণ্য থাকে এলাকাটি। এ কার্যালয়টির এক পার্শ্বে হরেন্দ্র নাথের চায়ের দোকান। অপর পাশে রয়েছে কবির এর মোটরসাইকেল সার্ভিসিং সেন্টার। বৃহস্পতিবার দুপুরে সরেজমিনে গেলে চা দোকানী হরেন্দ্র নাথ জানান, বছরের দু’একবার অফিসটি খুলতে দেখা যায়। একই কথা বললেন সার্ভিসিং সেন্টারের মালিক কবির হোসেনও।

জাতীয় পার্টির ঝাঁপা ইউনিয়ন কমিটির সভাপতি রুহুল কুদ্দুস জানান, দল চালানো মত অবস্থা নেই। তবুও যা দু’একজন কর্মী রয়েছে, তাদেরও খোঁজখবর নেয়ার মতো কেউ নেই।

মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে জাতীয় ছাত্রসমাজের সভাপতি জাকির হোসেন বাবু বলেন, অফিস এখন খোলা হয় না। দু’একজন এলে আমার দোকানে বসিয়ে এক-দু’কাপ চা দিয়েই বিদায় করি। এক প্রশ্নের জবাবে ছাত্রসংগঠনের এনেতা বলেন, আসলে এখন দলের ভালো অবস্থা যাচ্ছে না।

উপজেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম আহবায়ক বজলুর রহমান জানান, মাঝে-মধ্যে সময় পেলে অফিসটি আমিই খুলি। লোকজন না থাকা এবং ফাও সময় দেয়ার মতো অবস্থা এখন আর নেই। একে তো দলের ক্রাইসেস অবস্থা চলছে, তারপরেও কোন লাভ-ভাব না থাকায় এদিকে আসতে চাই না কেউ। খারাপ কিছু না লেখার অনুরোধ করে এ নেতা আরোও বলেন, চেষ্টা করেছি সংগঠনটি ধরে রাখার, তবে প্রত্যেকের সংসার এবং পেট রয়েছে তো!

দলের অবস্থা ভালো যাচ্ছে না বলে সদস্য সচিব মঈনুদ্দীন খান জানান। রোজা গেলো, ঈদ গেলো দেখি এখন থেকে সংগঠনের অবস্থা গতিশীল করার চেষ্টা করা হবে।

উপজেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক এমএ হালিম বলেন, অফিস মাঝে-মধ্যে খোলা হয়। ঈদ গেলো রোজা গেলো সংগঠনটি চাঙ্গা করার চেষ্টা করা হবে। দলের কেন্দ্রীয় গ্রুপিং কোন প্রভাব পড়ছে কিনা এমন প্রশ্ন করতেই আহবায়ক হালিম বলেন, নাঙ্গল প্রতীক যেখানে থাকবে, আমরাও সেখানেই থাকবো।

উল্লেখ্য, গত ইউপি নির্বাচনে জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে ৬ জন চেয়ারম্যান পদে ভোট করতে নামেন। এদের একজন রুহুল কুদ্দুস ঝাঁপা ইউপি থেকে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে ভোট করে ৯৭ ভোট পান। চালুয়াহাটির ইউপি থেকে চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়ে মেহেদি হাসান ভোট পান ৮০ টি। অপর চারজন প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোট আরো হতাশাজনক বলে দাবি করেছেন রুহুল কুদ্দুস।